রিভিশন আবেদন খারিজ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলার,চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও সমকালের চাঁদপুর প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী এবং বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহীম রনির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খানের করা মামলা খারিজের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রিভিশন আবেদন খারিজ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলার
মঙ্গলবার এ রায় দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সাহেদুল করিম।
সেলিম খানের পক্ষে রিভিশনটি করেন তার সহযোগী আব্দুল কাদের মিয়া। চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় গত বছরের মার্চে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তা খারিজ করে দেন চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতের বিচারক। ২ মে মামলা খারিজের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদনের শুনানি হয়। রিভিশন খারিজের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা চূড়ান্তভাবে খারিজ হলো।

সাংবাদিকদের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, বদিউজ্জামাল কিরন, দেবাশীষ কর মধু, আবদুল লতিফ, আবুল কাসেম, সেলিম আকবর, হেলাল উদ্দিন, খাদিজা আক্তার খুকি, ইশরাত জাহান ইমাসহ আরও বেশ কয়েকজন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ মার্চ চাঁদপুর প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত নৌযান জব্দ ও জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নাম উল্লেখ করে সেলিম খানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনেন সেলিম খান।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের ২২ মার্চ চাঁদপুরের দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন সেলিম খান। ওই মামলাটি আদালত ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন। এরপর মামলা খারিজের আদেশ বাতিলের জন্য বাদীপক্ষ রিভিশন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে মামলাটি যে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক তা প্রমাণিত হয়েছে।’

এ বিষয়ে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের হয়রানি করার জন্য মামলাটি করা হয়েছিল। তবে আদালত যে রায় দিয়েছেন তা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।’
আরও পড়ুন:
1 thought on “রিভিশন আবেদন খারিজ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলার”